কুষ্টিয়া থেকে-
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ গ্রামের চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের (৪২) এর বিরুদ্ধে তারই মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর এক আবাসিক ছাত্রী (১৩)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ধর্ষিতা শিক্ষার্থীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও ও ভাংচুর করেছে।
পুলিশ জানান, নির্যাতিতা সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ৬ দিন সে উক্ত মাদ্রাসায় থাকত। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। অতঃপর ভোর রাত্রে ফজরের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ও রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে।
মাদ্রাসার সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাষিয়েও দিলেও মেয়েটি সোমবার সকালের দিকে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠী ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা উক্ত মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। ঘটনায় জড়িত আব্দুল কাদেরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা । এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পোড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনুসহ এলাকার লোকজন ওই মাদ্রাসা সুপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেস্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।